শুভ জন্মদিন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী

প্রকাশঃ মে ২, ২০১৬ সময়ঃ ৫:৩৯ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ৫:৩৯ অপরাহ্ণ

প্রতিক্ষণ ডেস্কঃ

mostafa-sarwar-farooki_1

ব্যাচেলর, থার্ড পার্সন সিঙ্গুলার নাম্বার, পিঁপড়াবিদ্যার মতো জনপ্রিয় ও সমালোচকপ্রিয় চলচ্চিত্রের নির্মাতা তিনি। শুধু চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবেই নয়, তিনি প্রশংসিত স্বনামধন্য বিজ্ঞাপন ও টিভি নাটক নির্মাতা হিসেবেও। যার কথা বলা হচ্ছে তিনি মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। আজ ২ মে তাঁর জন্মদিন।

পরিচালনা জগতে ফারুকীর হাতেখঁড়ি হয় নাটক নির্মাণের মধ্য দিয়ে। তাঁর পরিচালিত প্রথম নাটক ‘ওয়েটিং রুম’ ১৯৯৯ সালে একুশে টেলিভিশনে প্রচারিত হয়। এই নাটকটি প্রথমে একুশে টিভি সম্প্রচারের জন্য মনোনীত করেনি, যার ফলে ফারুকী ভেবেছিলেন পরিচালক হিসেবে সেখানেই তাঁর ক্যারিয়ারের ইতি। কিন্তু পরবর্তীতে একুশে টিভি কর্তৃপক্ষ আবার নাটকটি দেখে এবং প্রচারের উদ্যোগ নেয়।

নাটক তৈরিতে সাহিত্যিক আনিসুল হকের সঙ্গে ফারুকীর জুটি বেশ বিখ্যাত। আনিসুল হকের কাহিনী অবলম্বনে তিনি নিজস্ব স্টাইলে নাটক নির্মাণ করেন, যে স্টাইল বাংলা নাটকের ইতিহাসে আগে কেউ দেখেনি। এসব নাটক দেশের তরুণ সম্প্রদায়ের মধ্যে দারুণ জনপ্রিয়তা লাভ করে। মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর পরিচালনায় উল্লেখযোগ্য নাটক হচ্ছে ৪২০, ৫১বর্তী প্রমুখ নাটক। তবে ফারুকীর নিজের বানানো নাটককে নাটক বলতে আপত্তি আছে। তাঁর মতে, টিভির জন্য তিনি যা নির্মান করেছেন সেগুলো নাটক নয়, ‘ভিডিও ফিল্ম’।

মোস্তফা সরওয়ার ফারুকীর মিডিয়া জীবন নাটক দিয়ে শুরু হলেও তিনি সবসময় সিনেমা নির্মাণ করতে চেয়েছিলেন বলে জানান। ১৯৯৩-৯৪ সালের দিকে বিভিন্ন ফিল্ম সোসাইটিতে বন্ধুদের সাথে ফারুকী বিভিন্ন পরিচালকের সিনেমা দেখেন যা থেকে তাঁর মধ্যে সিনেমার প্রতি আগ্রহ তৈরি হয়। তাঁর অনুপ্রেরণাদায়ী চলচ্চিত্র পরিচালকের মধ্যে রয়েছেন মাজিদ মাজেদি, ওজু, ফেদরিকো ফেলিনি, তারকাভস্কি প্রভৃতি নির্মাতা।

মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত প্রথম চলচ্চিত্র ব্যাচেলর ২০০৩ সালে মুক্তি পায়। এই চলচ্চিত্রটি মূলত তার পরিচালিত টেলিফিল্ম চড়ুইভাতি এর সিক্যুয়েল। এই পর্যন্ত ৬টি চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন ফারুকী। যার মধ্যে প্রায় সব কটিই আলোচিত-সমালোচিত এবং বক্স অফিস সফল। “রোমের আসিয়াতিকা ফিল্মে দিয়ালে ২০১৩” উৎসবের সেরা ছবির পুরস্কার জেতে ফারুকীর টেলিভিশন। এছাড়াও দেশী-বিদেশী আরো নানা পুরুস্কার ঝুলিতে পুরেছেন ফারুকী।

তবে নাটক-সিনেমায় অশুদ্ধ বাংলার ব্যবহার এবং “নাটক টাইপের” সিনেমা নির্মাণের কারণে অনেক মহলে ফারুকী সমালোচিতও বটে।

সিনেমা নিয়ে ভবিষ্যত পরিকল্পনায় এই ব্যতিক্রমী চলচ্চিত্র নির্মাতা বলেন, তিনি স্বপ্ন দেখেন তিনি চলতে-ফিরতে আশপাশে যেসব গল্প দেখেন, যত দিন বেঁচে আছেন, সেগুলো যেন সিনেমার মাধ্যমে কাউকে শুনিয়ে যেতে পারেন। তিনি আরো বলেন, “একটা সময় আমার সিনেমাগুলো দেখে যেন দর্শক বুঝতে পারে কাজগুলো আমার। এমনটা হলে খুব খুশি হব। আমি চাই, আমার কাজগুলো তেমন একটা চেহারা পাক। আর দেশের বাইরের দর্শক যখন আমার সিনেমা দেখবে, তখন যেন বলতে পারে এটা ভারত, ইরান, কোরিয়া বা ফ্রান্সের সিনেমা নয়। এমনকি আমেরিকার ছবিও নয়। দেখে যেন বলতে পারে, এটা বাংলাদেশের ছবি।”

মোস্তফা সরয়ার ফারুকী এবং তার সমমনা ব্যক্তিদের নিয়ে সংগঠন ছবিয়ালের পুরোধা ব্যক্তি তিনি।

ঢাকার নাখালপাড়ায় জন্মগ্রহণ করা এই গুণী নির্মাতা ২০১০ সালের জুলাই মাসে জনপ্রিয় টিভি অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশাকে বিয়ে করেন।

 
প্রতিক্ষণ/এডি/সাদিয়া

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য



আর্কাইভ

May 2024
S S M T W T F
 123
45678910
11121314151617
18192021222324
25262728293031
20G